সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল সমূহের আস্হা অর্জন করতে সক্ষম হননি।প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার ভাব মর্যাদা গড়ে তোলার জন্য যে পদক্ষেপ গুলো নিয়েছিলেন তার কোনটাই জনগণের নিকট গ্রহন যোগ্য হয়নি। কোন কোন বক্তব্য তাকে ইতিমধ্যেই বিতর্কিত করেছে। তিনি বলেছিলেন কেউ তলোয়ার নিয়ে আসলে তাকে রাইফেল দিয়ে প্রতিহত করতে হবে। তিনি এটাও বলেছেন এবারের ভোট দিনের বেলায়ই হবে।
নানান বিতর্ক আর নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের ধারাবাহিক সংলাপ ৩১ জুলাই রবিবার শেষ হয়েছে।এ সংলাপে বিএনপি, জামায়াত ও আরো অনেক রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহন করেনি।ফলে এ সংলাপ কোন সুফল বয়ে আনবে না। নির্বাচন কমিশন এর সাথে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। মূলত নির্বাচন কালীন সরকারই হচ্ছে মূল আলোচনার বিষয়।এটার সমাধান নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। অতএব তার সংগে সংলাপ কোন ফল বয়ে আনবে না।এর সমাধান করতে হলে রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ নিতে হবে।
এ ধরনের কোন উদ্যোগ নেওয়ার লক্ষ্যন আপাতত দেখা যাচ্ছে না।সরকারের শরীক দল জাতীয় পার্টি বলেছে বর্তমান ব্যবস্হায় সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়।
আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে মহান স্বাধীনতা লাভের পর ৫১ বছরেও দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের স্হায়ী এবং কার্যকর কোন ব্যবস্হা করা যায়নি। এ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের ১১ টি নির্বাচন হয়েছে। তন্মধ্যে ১৯৯১,১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তিনটি নির্বাচন কেয়ার টেকার সরকারের অধীনে হওয়ায় এ নির্বাচন গুলো সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছিল।২০০৮ সালের নির্বাচনটি ছিল সেনাসমর্থিত অনিয়মিত তত্বাধায়ক সরকারের নিরাপদ প্রস্হানের লক্ষ্যে সমঝোতার নির্বাচন।
অবশিষ্ট নির্বাচন সমূহ দলীয় সরকারের অধীনে হওয়ায় ঐ নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় নি।বিশেষ করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন দুটো দেশে বিদেশে কোথাও গ্রহনযোগ্যতা পায়নি।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিস্হিতি ক্রমেই জটিলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। দ্রুতই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে কেয়ার টেকার সরকার ব্যবস্হার অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করতে না পারলে দেশ ভয়াবহ সংকটের কবলে নিপতিত হবে।তাই রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে সংলাপের মাধ্যমে এখনই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্হা করতে হবে।